দশমিনায় সরকারি ঘর বিক্রি করে বানিজ্য যেন দেখার কেউ নেই, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার ৭ নং চরবোরহান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রি করে বানিজ্য করছেন বরাদ্ধ পাওয়া সুবিধাভুগীরা।
যানাযায়,প্রায় একযুগ আগে উপজেলার বুড়াগৌড়াঙ্গ-তেতুলিয়া নদী বেষ্টিত ৭ং চরবোরহান ইউনিয়নের দক্ষিন চরবোরহান ৩ নং ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রামে ভুমিহীন ও ঠিকানাহীন দুস্থ পরিবারের মধ্যে বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ৭০টি ঘর নির্মান করে ছিন্নমুল পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ওই প্রকল্পের আওতায় মৃত্যু মোঃ মোনতাজ উদ্দিন চৌকিদারের ছেলে মোঃ মনির চৌকিদার(৪০) এবং মোঃ রশীদ রাড়ীর ছেলে মোঃ নুরু রাড়ী (৫০) ও মোঃ লালমিয়া আকনের ছেলে মোঃ অহিদুল আকন (৪২) তিনটি ঘর বরাদ্ধ পান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উভয়ের তাদের ৩ং ওয়ার্ডে নিজেস্ব বাড়ী ও জমি থাকা সত্বেও প্রতারনা করে নিজেদের নামে ঘরগুলো বরাদ্দ নেন। এলাকার একাধীক ব্যাক্তি যানান, বরাদ্দ পাওয়ার পরে একদিনের জন্যও তারা ওই ঘরে বসবাস করেননি এবং কাউকে করতেও দেননি। সম্প্রতি তারা তাদের বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলো বর্তমানে ভেংয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। দেখাযায়, তিনটি ঘরের ভিটা পড়ে থাকলেও নেই ঘরের টিন,কাঠ,লোহার এ্যাঙ্গেলসহ সব মালামাল।
এ ব্যাপারে যানতে চাইলে মোঃ মনির চৌকিদার বলেন,নতুন করে ঘর নির্মান করার জন্য পুরান ঘরের মালামাল ফেরিওয়ালার কাছে আনুমানিক একটা দর ধরে ২১ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এদিকে মোঃ নুরু রাড়ী বলেন, আমার ঘরের মালামালও মনির রাড়ীর মতো একই টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। অপরদিকে মোঃ অহিদুল আকন সাংবাদিকদের উপস্থিতির কথা শুনে পালিয়ে যায় তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি এবং সাংবাদিকদের সামনেও আসেননি।পরে স্থানীয় ফেরিওয়ালা ব্যাবসায়ী মোঃ মকবুল হোসেন ঘরের মালামাল কেনার কথা জিঙ্গাসা করলে শিকার করে বলেন, তারা মালামাল বিক্রির জন্য গলাচিপার উলানিয়া বাজারে নিয়ে যাচ্ছিল, আমি তাদের কে অনুরোধ করে কিনে রেখেছি।
এবিষয়ে ৭নং চরবোরহান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নজির আহম্মেদ সরদার বলেন,ঘরের মালামাল বিক্রি হয়েছে কিনা আমি জানিনা তবে শুনেছি বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পরায় ওরা তিনটি ঘর ভেংয়েছে এবং এ ব্যাপারে ইউএনও স্যারের কাছেও ওরা গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন,ভাংয়াচুরা এ্যাঙ্গেল-ট্যাংগেল বিক্রি করলেও করতে পারে। দশমিনা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাফিজা নাজ নীরা বলেন,এ বিষয় নিয়ে আমার কাছে কেউ কখনো আসেনি। সরকারী ঘর বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই,বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।